বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকার বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শূন্যরেখা পেরিয়ে তুমব্রু ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তারা।
এর আগে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে কেঁপে উঠছে। তাদের ছোড়া গুলির শিশা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এ সময় এক বাংলাদেশি নারী ও একজন পুরুষ আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসত বাড়িতে এসব এসে পড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা রূপলা ধর নামে একজন বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। অনেক ভয় হচ্ছে, কখন কোন সময় কী হয়, তা আমরা বুঝতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাশের এলাকার এক ঘরের চালের ওপর বিস্ফোরিত রকেট লান্সার এসে পড়েছে শুনেছি। অনেকের উঠানে গুলিও এসে পড়ছে। এ ঘটনায় ঘরের বাহিরে যেতেও ভয় হচ্ছে।’
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারের উত্তেজনা সম্পর্কে তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে তাদের স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে আসতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদকে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রয়োজন হলে সীমান্ত লাগোয়া স্কুলগুলোকে সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমজে/