কাজ সময়মতো শেষ করতে হবে, কোনো ছাড় নয় : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো ছাড় না দেওয়ার বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন নতুন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল অব. আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই, কাজ সময়মতো শেষ করতে হবে।

আজ সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার বুঝে নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুনীতি এখন জাতীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে। এটার বৈশিষ্ট্যের ওপর হাত দেওয়া যাবে না তবে জিহাদ অব্যাহত থাকবে। শতভাগ নিশ্চিত থাকেন, কোথাও ছাড় দেওয়া হবে না। পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসাবে আমি শতভাগ দায়িত্ব পালন করব। প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। কাজ সময় মতো শেষ করতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রকল্পগুলোর দিকে নজর দিতে চাই। সেই সঙ্গে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে থাকবে বিশেষ নজর। গ্রামের রাস্তা-ঘাট যদি ঠিক থাকে। মানুষ যদি সহজেই শহরে যাতায়াত করতে পারে তাহলেই উন্নয়ন টেকসই হবে। আমি যে এলাকায় নির্বাচিত হয়েছি আমার উপজেলায় পায়ে হেঁটে বেড়িয়েছি। আমি মনে করি দেশের অন্যান্য উপজেলারও একই চিত্র। তাই গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব থাকবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নানা অভাব ও অভিযোগ আছে। সেগুলো কমানোর চেষ্টা থাকবে। গ্রামে যদি স্বাস্থ্য সেবা ভালো থাকে তাহলে মানুষ সেখানেই অন্তত্ব কিছুটা স্বাস্থ্য সেবা পাবেন। আমরা এলাকায় একটি ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি জানতে পেরে সিএমএইচ এ পাঠিয়েছি। যদি গ্রামেই সেই স্বাস্থ্য সেবা ভালো থাকত তাহলে অন্তত্ব সেখানেই কিছু সেবা পেত। প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি চিকিৎসা সেবা দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেসব এগিয়ে নিয়ে আমি কাজ করব।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণের ওপর জোর দেওয়া হবে। দেশে টাকা প্রয়োজন। গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, অবকাঠামো সংযোগসহসহ গ্রাম নির্ভর প্রকল্পগুলোতে মনোযোগ দেওয়া হবে। যেন অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য থাকে। এদিকে প্রথম অগ্রাধিকার। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন যেন ধীরগতিতে না হয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনেক অব্যবস্থাপনা আছে।

সাধারণ মানুষ এখানে উপকৃত হয় না। পরিকল্পনামন্ত্রী মানুষ যদি নিজ এলাকায় স্থিতিশীল হয়, কাজ পায় তাহলে শহরে অভিগমন হবে না। সে বিষয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নেবেন পরিকল্পনামন্ত্রী। প্রকল্প বাস্তবায়নে ছাড় নিয়ে জটিলতায় কোনো ছাড় নয়, করতেই হবে। দুনীতি নিরসনে কাজ চলবে।

কোথায় কোথায় বাধা আছে তা দেখা হবে বিশেষভাবে। দুনীতি এখন জাতীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে। এটার বৈশিষ্ট্যের ওপর হাত দেওয়া যাবে না। তবে জিহাদ অবাহত থাকবে। শতভাগ নিশ্চিত থাকেন, কোথাও ছাড় দেওয়া হবে না। পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে আমি শতভাগ দায়িত্ব পালন করবো।

প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। কাজ সময়মতো শেষ করতে হবে। নতুন মন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণের ওপর জোর দেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img