চট্টগ্রামের ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী টিকে গেলেন

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া তিন আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর আগে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সইয়ে গড়মিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

গতকাল রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত আপিল শুনানির পর তিন জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার আপিল শুনানি করেন।

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া তিন আওয়ামী লীগ নেতা হলেন, চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশের একাংশ) আসনের আবদুচ ছালাম এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের এম এ মোতালেব।

গত ৩ ডিসেম্বর রোববার চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ত্রুটির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মনোনয়ন পত্র বৈধতা ফিরে পাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি এখানকার মানুষের ভালোবাসায়। মনে করি আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আশা করছি নির্বাচনে আমি জনগণের বিপুল ভোটে জয়ী হব।

অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা ভোটার তালিকায় পরিমল একজন সমর্থক ছিলেন যিনি অটোরিকশা চালক ও কৃষক। এ দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা তার সঙ্গে সাধু ভাষায় কথা বলায় তিনি বুঝতে পারেন নি। সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নের জেসমিন আক্তার নামে এক ভোটারকে ভয়ভীতি দেখানোর ফলে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের দিনে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হননি। ফলে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের মনোনয়ন বাতিল হয়।

মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার পর এম এ মোতালেব বলেন, আমি মানুষের সেবা করার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আল্লাহ আমাকে প্রার্থিতা ফেরত দিয়ে সম্মান দিয়েছেন। জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে আমি সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার মানুষের সেবা করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।

এছাড়া গত ৩ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে আবদুচ ছালামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার পর আবদুচ ছালাম বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে সবসময় মানুষের সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। আমি সিডিএ চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আল্লাহ আমার মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের কী কী উন্নয়ন করেছেন, সেটা নগরবাসী জানেন। হয়তো আল্লাহ অবহেলিত বোয়ালখালীর উন্নয়নও আমার মাধমে করাবেন। হয়তো কালুরঘাট সেতু আমার হাত দিয়েই হবে।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img