‘নির্বাচনে ওসিরা অনুগত হতে পারে, এ বিবেচনাতেই বদলি’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে পুলিশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচনে ওসিরা কারও প্রতি ‘ইনক্লাইন্ড’ (অনুগত বা পক্ষপাতদুষ্ট) হতে পারে, এ বিবেচনাতেই তাদের বদলির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। যখনই নির্বাচন আসে, শিডিউল ডিক্লেয়ার হয়ে গেলেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী থেকে শুরু করে সবকিছুই নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকে। নির্বাচন কমিশন মনে করেছে দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে যারা দীর্ঘদিন যাবৎ ওসি হিসেবে আছেন, তারা হয়ত কারও প্রতি ইনক্লাইন্ড (অনুগত) হতে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওসিদের নিয়ে এ ধরনের বিবেচনা নির্বাচন কমিশনের, আমাদের কিছু নয়। এজন্যই তারা সারা দেশে ওসিদের ট্রান্সফার করেছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সারা দেশে ওসিরা কাজ করছে।

আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, আপনারা দেখেছেন খাগড়াছড়িতে বিএনপি-জামায়াত কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। খাগড়াছড়িতে একটা ট্রাক যাচ্ছিল, আমাদের যে কনভয় ছিল, সেখান থেকে ট্রাক ড্রাইভার কিছুটা পিছনে পড়ে গিয়েছিল। সেখানে পেট্রোল ঢেলে গাড়িতে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় ট্রাকে থাকা দুজনের মধ্যে একজন নেমে যেতে পেরেছিল, আরেকজন তখন নামতে পারেনি। ফলে তার শরীরে পেট্রোল লেগে আগুনে পুড়ে যায়। এখান থেকে বার্ন ইউনিটে আসার পর সেখানে মারা যায়।

তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ সালে আপনারা দেখেছেন ঠিক একই কায়দায় অগ্নিসন্ত্রাস করেছে বিএনপি-জামায়াত। তারা সে সময়েও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছে, এবার ঠিক সেরকমই তারা চাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ বিএনপি-জামায়াত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, যে কারণে তারা নির্বাচনে যেতেও ভয় পাচ্ছে। নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না, বিষয়টি তারা সুনিশ্চিত হয়েছে। এ অগ্নিসন্ত্রাস যারা করে, তাদের থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই তারা বুঝতে পেরেছে আর গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসতে পারবে না তারা। আমরা দেশের জনগণও কিন্তু বসে নেই, আপনারা দেখছেন যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, সাধারণ মানুষ তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img