পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. সাগর ওরফে রিমন (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। শুক্রবার রাতে রাজশাহীর মোহনপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাগর ওরফে রিমন নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাংড়া গ্রামের মো. হাসানের ছেলে। তার হেফাজত থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ফোন, সিম উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন জানান,
রিমন নিজেকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে একাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর এক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে নগরের সদরঘাট থানায় মামলা করেন। ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে রিমনকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একটি চৌকস টিম। শুক্রবার রাতে রাজশাহীর মোহনপুর থানা এলাকা থেকে মো. সাগর ওরফে রিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রিমন পুলিশের এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে রিমন পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও জানান, ওয়েবসাইট থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ‘পুলিশ কন্ট্রোল রুম’-এর নম্বর নিয়ে নিজেকে পুলিশের এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে কল দেয়। পরে ‘পুলিশ কন্ট্রোল রুম’ থেকে উক্ত থানা এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বর নিয়ে ওই ব্যক্তিকে কল দিয়ে নিজেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। পরে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে বিকাশ এজেন্টের সাথে কথা বলে বিকাশ এজেন্টের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর নিত। পরবর্তীতে কৌশলে উক্ত বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। অভিযুক্ত রিমনের বিরুদ্ধে ডিএমপি, রাজশাহী, পাবনা ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে পাঁচটি মামলা তদন্তাধীন এবং আদালতে বিচারাধীন আছে বলে জানায় কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।