ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উপকূল অতিক্রম করেছে গতকালই (শুক্রবার)। তবে যাওয়ার আগে বেশ ক্ষতি করে গেছে ঝড়টি। এর প্রভাবে গাছ ও দেয়াল চাপা পড়ে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঝোড়ো বাতাস আর ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের।
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকা। কাঁচাঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘর ভেঙে পড়েছে। বরগুনার পাথরঘাটায় নিখোঁজ আছেন ২০টি ট্রলারের ৩০০ জেলে।
কক্সবাজারে দেয়াল ধসে ৪ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে বসতঘরের মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের মরিচ্যাঘোনার পানিরছড়া এলাকায় ওই চারজন নিহত হন। তাঁরা হলেন ওই এলাকার ফকির মোহাম্মদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), তাঁর ছেলে শাহিদুল মোস্তফা (২০), মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া বেগম (১১)।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, মিধিলির প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত আটটার পর থেকে কয়েক দফা ভারী ও মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে বসতঘরের মাটির দেয়াল চাপায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী একটি পরিবারের চারজন নিহত হন।
চট্টগ্রামে গাছের ডাল ভেঙে ২ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আবদুল ওহাব নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওহাব সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মিরসরাইয়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মারা গেছে ছিদরাতুল মুনতাহা নামের এক শিশু। মুনতাহা মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড়ের মহানগর এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।
টাঙ্গাইলে গাছের ডাল ভেঙে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে ঝোড়ো বাতাসে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাজ্জাক মিয়া (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। রাজ্জাক মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিরিকপুর গ্রামের কুসুম মিয়ার ছেলে। তিনি বাসাইলের কোটিপতি মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
এমজে/