র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, জেনেশুনে সহিংসতাকারী বা নাশকতাকারীদের আশ্রয় দিলে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কমান্ডার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা বা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অনেককে জেনেশুনে রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলে আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি পরিষ্কার করে বলতে চাই, যারা জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করছে কিংবা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত; তাদের প্রশ্রয় দিলে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিন ভোরে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেল থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ৩১ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নাশকতা, সহিংসতা এবং তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় অভিযুক্ত তারা। সাংবাদিকদেরও আহত করে এসব দুর্বৃত্ত। বিপুল সংখ্যক গাড়িও ভাঙচুর করে তারা।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাশকতা করার পরিকল্পনা ছিল। তারা স্বেচ্ছায় এই সহিংসতা চালিয়েছে। তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে নাশকতাকারীরা। ইতোমধ্যে এ নিয়ে মামলা হয়েছে। পরে সিসিটিভি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা গেছে।
আল মঈন বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ১০ জনই। গোয়েন্দা সূত্রে আমরা জানতে পারি, তারা সেই হোটেলে অবস্থান করছে। পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেই সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা।
তিনি বলেন, দৃর্বৃত্তদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হয়েছেন। যাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদেরও আহত করেছেন তারা। যারা এরকম করবেন তাদের কোনও ছাড় নেই।
গত মঙ্গলবার আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তিনজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন তারা।
এই ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- পরিদর্শক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপপরিদর্শক মো. মতিন ও কনস্টেবল মো. নুরুল।
এমজে/