প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা এটা প্রমাণ করেছি। বিশ্বে এটি নজির স্থাপন করেছে।
আজ বুধবার (১ নভেম্বর) ‘আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। অপরদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তার কার্যালয়ে থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন। ভারতের অর্থায়নে এই তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, যে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, তা আঞ্চলিক যোগাযোগ ও জ্বালানি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ভবিষ্যতে আরও যৌথ উদ্যোগ হবে এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে দেশের উন্নতি হয়, তা প্রমাণিত হয়েছে। এটি বিশ্বে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
যে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হলো- আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
মূলত ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি। এর মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক প্রসার ঘটবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ও ভারত।
খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের ছাড়ের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভারতীয় ঋণ সহায়তার আওতায় মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (২ী৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
এমজে/