নব্বইয়ের দশকে সানি দেওল ছিলেন হিট নায়ক। এরপর সে আবেদন আর ছিল না। কিন্তু কিছু সিনেমা সব ইতিহাসেরই মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ২০০১ সালে সানির জন্য তা করেছিল গদর। ২২ বছর পর আবার একটি ইন্ডাস্ট্রি হিট দিয়েছিল গদরের সিকুয়াল ‘গদর টু’। দেড় সপ্তাহেই ৫০০ কোটির বেশি আয় করেছিল সিনেমাটি। সানিকে কিছুদিনের জন্য অন্তত ফিরে তাকাতে হবে না। এ সাফল্যের ফলে পারিশ্রমিকও বাড়ছে সানি দেওলের।
গদরের সাফল্যের পর তাকে নিয়ে অন্যান্য হিট সিনেমার সিকুয়াল নির্মাণের চিন্তা করছেন নির্মাতারা। কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে ‘বর্ডার টু’র সিকুয়াল নিয়ে ভাবা হচ্ছে। জোরেশোরেই বলা হচ্ছে, গদর টুর পর এবার ‘বর্ডার টু’তেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন সানি দেওল। ফলে প্রচুর পারিশ্রমিক চাইছেন তিনি। এর পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি রুপি।
১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘বর্ডার’। পরিচালনায় ছিলেন জেপি দত্ত। নব্বইয়ের দশকের এ মাল্টি স্টারার সিনেমায় সানি দেওলের পাশাপাশি ছিলেন সুনীল শেঠি, জ্যাকি শ্রফ ও অক্ষয় খান্না। অন্যদের ব্যাপারে কোনো কথা শোনা না গেলেও সানিকে নিয়েই উঠেপড়ে লেগেছেন নির্মাতারা। ফলে দর বাড়িয়েছেন সানি দেওল। শোনা যাচ্ছে, দু-তিন বছর ধরে ছবি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন নির্মাতারা। তবে তখনো অভিনেতা চূড়ান্ত করেননি। সানি নিজেও নিশ্চিত ছিলেন না। গদর টুর সাফল্যের পর অবশেষে বর্ডার টু ছবির জন্য সায় দিয়েছেন তিনি। শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে চলেছেন তারা।
এ সিনেমার জন্য ৫০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পাবেন সানি দেওল, এমনই জানাচ্ছে ভারতের কিছু গণমাধ্যম। শুধু তা-ই নয়, সিনেমার লভ্যাংশও পাবেন তিনি। সানির উপস্থিতি এ ছবির গুরুত্ব বাড়িয়ে দেবে বলেই নির্মাতাদের ধারণা। এ কারণে সানি নিজে না চাইলেও নির্মাতারাই বাড়িয়েছেন দেওলের পারিশ্রমিক।
এমজে/