ঈদের চলে তৃতীয় দিন এর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে কর্মব্যস্ত মানুষদের রাজধানীমুখী ছুটে চলা। পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামে ঈদ করা শেষে ফিরছেন কর্মস্থালে। কাজে যোগ দিতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বাড়ছে কর্মমুখী মানুষের ভিড়। দেখা হচ্ছে না পূর্বের ন্যায় পুলিশের মুভমেন্ট পাস দেখার সুযোগ।
ঈদ পরবর্তী সময়েও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে মানুষ। এতে করে ঘাট এলাকাদিয়েও অবাধে চলাচল করছে যাত্রীরা, বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুকি। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌ পথ। করোনা পরিস্থিতি বাদে সারা বছরই এই নদী পথে থাকে ফেরী পারাপারের ব্যস্ততা। করোনাকালে কিছুটা বিধিনিষেধ থাকলেও কোন ভাবেই ফেরানো যায়নি ঈদে ঘরমুখো মানুষকে ফেরানো। এই মানুষগুলোই আবার ফিরছে কর্মস্থল রাজধানীসহ সারাদেশে।
সরেজমিনে দৌলদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা সবগুলো ফেরীতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ লক্ষ করা গেছে। পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলদিয়ার উদ্যেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ফেরীগুলোতেও যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পরার মত। ফেরীগুলোতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কাও করছেন না কেউ কেউ। পুলিশের সদস্যরা ঘাট এলাকাগুলোতে থাকলেও কোন ধরনের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি।
সরকারের বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার বাস না চলায় সড়ক-মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। জেলার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে তারা ঘাটে পৌঁছেছেন। ঘাট পার হয়ে আবারও একই কায়দায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ব্রেক জার্নিতে (ভেঙে ভেঙে) কর্মস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে।
পাটুরিয়ায় ৪নং পন্টুনে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে অপেক্ষারত আশরাফ মিয়া ঈদের ছুটিতে যাচ্ছেন শ্বশুড়বাড়ী রাজবাড়ীতে কথা হয় তার সাথে তিনি বলেন, শ্বশুড়বাড়ী দূরে হওয়ায় তেমন যাওয়া হয়না। কয়েক বছর পর-পর সুযোগ হয় তখন যাই। ঈদের আগে যাইতাম তবে তখন খুব ভিড় ছিল তাই যাইতে সাহস করি নাই। ভাবলাম ঈদের পর বোধয় ভীড় কম থাকব, ঘাটে এসে অপেক্ষা করতে হবে না; তবুও অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
করোনাকালে কেন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বেড়ানোর উদ্যেশ্যে বের হয়েছেন এই প্রশ্নে আশরাফ মিয়া বলেন, আগে পুলিশ বের হইলে মুভমেন্ট পাশ চাইত, জেরা করত, জরিমানা করত। এই ঈদের কারনে কিছুটা সিথিল হয়েছে কোন পাশ লাগে না। আর কয়েকদিন পর থেকে আবার মুভমেন্ট পাস লাগতে পারে, ছুটিও আছে তাই এই সুযোগে বেড়াতে বের হয়েছি।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, আমরা ঘাট এলাকাতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি। যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে। মুভমেন্ট পাসের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।