আনোয়ারা উপজেলায় লুৎফুর নেছা (৪৫) নামে এক প্রতিবন্ধী নারীকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গত ১৪ জুলাই হাইলধর ইউনিয়নের হেটিখাইন গ্রামের গাইন্যের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বোন রনি আকতার বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় আকতার হোসেন (৪৬), (৬০),পেয়ারু বেগম (৩৫),হামিদা আকতার (৩৮),রুপসা আকতার (২০) সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
জানা যায়, প্রতিবন্দী লুৎফুর নেছারা চার বোন দুই ভাই। তাদের মা-বাবা আগে মারা যায়। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। এক ভাই দেশের বাইরে আরেক ভাই থাকেন কুমিল্লায়। প্রবাসী ভাইয়ের বউয়ের সাথে থাকেন লুৎফর নেছা। তার বিয়ে হয়নি। উল্লেখিত প্রতিবেশীরা লুৎফুর নেছা এবং তার বোনদের নির্যাতন করে ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন লুৎফুর নেছার ভাইয়ের বউও। সবাই মিলে লুৎফুর নেছাকে জানে মেরে ফেলার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন বাদী। ঘটনার দিন প্রতিবেশী আকতার হোসেন লুৎফুর নেছাদের আমড়া গাছ থেকে আমড়া পেড়ে নিয়ে যান। লুৎফুর নেছা প্রতিবাদ করলে সকলে মিলে তাকে বেধম মারধর করে। ফলে তার গাল,পেট,পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে ছিড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বোন রনি আকতার ছুটে আসলে তাকেও হুমকি ধমকি দিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন।
ভুক্তভোগীর বোন রনি আকতার বলেন, আমার বোনটা প্রতিবন্ধী। তার বিয়ে হয়নি। আমার প্রবাসী ছোট ভাইসহ আমাদের বাড়িতে থাকে। আমার ভাইয়ের বউসহ চাচাতো ভাইয়েরা মিলে তাকে জানে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন। যাতে আমাদের ঘর-বাড়ী দখল করতে পারে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাচাতো ভাই আকতার হোসেন। তিনি বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমড়া গাছ নিয়ে ঝগড়া হওয়ায় আমি দা নিয়ে আমড়া গাছ কাটতে গিয়েছিলাম। তাকে মারধর করিনি।
আকতার হোসেনের চাচাতো ভাই স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাছির বলেন, লুৎফুর নেছাকে কেউ মারধর করেনি। ধস্তাধস্তির সময় কোদালের পেরেকের আঘাত পেয়ে মুখ ছিড়ে গেছে। তার বোন শশুর বাড়ি থেকে এসে আমাদের বউ-ঝি-দের সাথে ঝগড়া করে।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমজে/