ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৬ জুলাই) সকাল পৌনে ১১টার পর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত ‘অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক বিএনপি-জামায়াত চায়নি বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি ও বোমাবাজি ছিল। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আমাদের জনসংখ্যা হিসাব করে, মানুষের কর্মদক্ষতা যেন বৃদ্ধি পায়, সেদিকে তিনি দৃষ্টি দিতেন। ১৯৭৩ সালে সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসনও দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।’
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে যখন আমাদের এ অঞ্চলে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যখন সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত হচ্ছে। তখন একটি প্রস্তাব আমরা পেয়েছিলাম, বাংলাদেশ বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হতে পারবে। সেসময় ক্ষমতায় খালেদা জিয়া। তিনি বলে দিলেন সংযুক্ত করা যাবে না। দেশের সব সিক্রেসি নাকি আউট হয়ে যাবে। সিক্রেসি টা কী, আউট বা কীভাবে হবে, সেটা আমরা জানি না। এরকম মানসিকতা নিয়ে আমাদের দেশ চলছে। কত পেছনে আমরা পিছিয়ে ছিলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি উদ্যোগ নিলাম যেভাবে হোক, যেখান থেকে হোক কিছু কম্পিউটার যোগাড় করে স্কুলে স্কুলে আমাদের শিক্ষার্থীদের এ শিক্ষাটা দিতে হবে। আমরা ১০ হাজার স্কুল খুঁজে ঠিক করলাম। এজন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা নিতে হলো। ১০ হাজার কম্পিউটার কেনার জন্য আমি পদক্ষেপ নিলাম।
নেদারল্যান্ড সরকার একটা অনুদান দিলো। তারা কম্পিউটারের অর্ধেক দাম দিল, বাকি অর্ধেকটা আমাদের দিতে হবে। আমরা সেই সুযোগ নিয়ে ১০ হাজার কম্পিউটার কেনার সব পদক্ষেপ নিলাম। টাকা-পয়সা দেওয়া হয়ে গেলো। এর মধ্যে আসলে আওয়ামী লীগের পাঁচ বছর সময় শেষ হয়ে গেলো। আমরা ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। বিএনপি-জামায়াত জোট আসল।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৫৭টি কলেজের অধ্যক্ষরা অংশ নিয়েছেন।
এমজে/