তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের আগ্রহ নেই : ইএমএফ

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) কাছে তা জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে তাদের কোনো আগ্রহ নেই বলে মনে করছেন ইএমএফ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে ইইউ দূতাবাসে ঢাকায় সফররত ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইএমএফ সদস্যরা।

এতে অংশ নেন ইএমএফের চার সদস্য। ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে বেরিয়ে এসে ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী বলেন, ‘এ দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে ইইউ। আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা জানতে চেয়েছেন ইইউ প্রতিনিধিরা।’

গত ৫টি নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে সরকারের সহযোগিতার কথা জানিয়েছে মনিটরিং ফোরাম। নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলে প্রত্যাশা তাদের। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ইইউ প্রতিনিধিদের কোনো আগ্রহ নেই বলে মনে করছে ইএমএফ। তবে তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আবেদ আলী।

আবেদ আলী বলেন, উনারা গত নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। আগামী নির্বাচন কেমন হবে সেটি জানতে চয়েছেন। যেহেতু বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে আমরা কাজ করছি, তারা আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছেন।আমরা উনাদের সামনে সম্প্রতি পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের যে পরিস্থিতি দেখেছি, সেটি তুলে ধরেছি। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা, সরকারের যে সহযোগিতা সেটি উনাদের সামনে আমরা তুলে ধরেছি। উনারা আমাদের কথা নোট করেছেন। বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল আসবে। পাশাপাশি উনারা প্রত্যাশা করেন, বাংলাদেশের সব কয়টি রাজনৈতিক দল আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

আবেদ আলী বলেন, তারা শুধু ২০১৮ নয়, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ সবগুলো নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা উনাদের সামনে সবগুলো নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরেছি। উনারা এ বিষয়ে আগে থেকেই অবগত আছেন। উনাদের মধ্যে একজন প্রতিনিধিও আছেন যিনি আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে কোনো কথা বলেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবিধানে নেই এমন কোনো কথা বলেননি। তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে কিছু তারা জানতে চাননি। এটার বিষয়ে উনারা কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন সেটি তারা নিশ্চিত করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনারা কনফার্ম করেননি। তবে উনাদের যারা সিনিয়র আছেন, তাদের সার্বিক বিষয়ে জানাবেন।

এসময় ফোরামের উপদেষ্টা ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ১৫ দিনের বাংলাদেশ সফরে সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং দফতরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটির। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হতে পারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে। দলটি মতবিনিময় করবে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর সঙ্গেও। অগ্রগামী এ দলটির প্রতিবেদনের ওপরই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না!

এরই মধ্যে গতকাল (সোমবার) আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইইউ’র প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। তবে এতে নির্বাচন ইস্যুতে কোনো কথা হয়নি জানিয়ে দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক বলেছেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা শোভনীয় নয়।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img