মাটির নিচে পানির স্তর ৪ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রামের চার উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
জলবায়ুর পরিবর্তনই এর অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে জোর দিচ্ছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
এর পরিবর্তে মাটির উপরিভাগের পানি অর্থাৎ পুকুর বা নদীর পানির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
বোয়ালখালীতে কয়েক হাজার নলকূপ অকেজো
বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল, পূর্ব গোমদন্ডী, পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, চরণদ্বীপ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার নলকূপ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।
বিকল্প হিসেবে অনেকে সাব-মারসিবল পাম্পের সাহায্যে পানি তুলছেন।
সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, নলকূপে উঠছে না পানি।
গত ৫ মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।
বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আবু বলেন, পৌর এলাকার মানুষ পানির সংকটে ভুগছে। কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি তোলার কারণে এলাকায় পানির জন্য হাহাকার চলছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুদর্শী দেওয়ান জানান, বোয়ালখালীতে বেশিরভাগ এলাকায় গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এ বছর ২২৬টি নলকূপ বরাদ্দ এসেছে, এর মধ্যে ২০০টি বসানো হয়েছে।