সময় পাল্টে গেছে, দুপুর ১২টায় নয়। বেলা দেড়টায় অনুষ্ঠিত হবে তামিম ইকবালের সংবাদ সম্মেলন। আজ সকাল সাড়ে ১১টার পর তামিমের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রামের টাওয়ার ইন হোটেলে প্রেসের সাথে কথা বলবেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল।’
তার ফর্ম নিয়ে তীর্যক কথা-বার্তা ও সমালোচনা বছর দুয়েক ধরেই। উত্তাল উইলোবাজির জন্য যাকে বিশ্ব একনামে চিনতো, খোলা তরবারির ন্যায় ব্যাট দিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন করায় যার জুড়ি মেলা ছিল ভার। দেশের সেই এক নম্বর ওপেনার তামিম ইকবাল চেনা ছন্দে ও রূপে নেই কিছু দিন ধরে।
বরাবরের মত স্বপ্রতিভ, সাবলীল আর অনায়াসে উইকেটের চারিদিকে বাহারি স্ট্রোক খেলা তামিম দিনকে দিন কেমন যেন ম্রিয়মান, আড়ষ্ট হয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যাটের তেজ কমে যাওয়ায় সীমিত ওভারের ফরম্যাটে তার স্ট্রাইকরেটও গেছে কমে। তা নিয়েও অনেক সমালোচনা, কথা-বার্তা চারদিকে। যার ব্যাটিং দ্যুতি মাঠে আলো ছড়িয়েছে বহুদিন, সেই টিম বাংলাদেশের অন্যতম সেরা তারকা ও ব্যাটার তামিম কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছেন ধীরে ধীরে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ইনজুরি।
আজ পিঠের ব্যাথা, কাল গ্রোয়েন, পরশু হ্যামস্ট্রিং- কোনো না কোনো শারীরিক সমস্যা পিছু তাড়া করে বেড়াচ্ছে কিছুদিন ধরেই। এতে করে মাঠেও নিয়মিত নন তামিম। প্রায় প্রতি সিরিজ বা সফরে কোন না কোন ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানো প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এইতো- আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত মাসে খেলবো না, খেলবো করে শেষ মুহূর্তে ঢাকা টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেও তার খেলা নিয়ে ছিল প্রবল সংশয়-সন্দেহ।
সিরিজ শুরুর ২৪ ঘন্টা আগের সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলে বসেন, তিনি শতভাগ ফিট নন। তারপরও প্রথম ম্যাচ খেলবেন। বাস্তবে খেলেছেনও। আর এই খেলা নিয়েই রাজ্যের হইচই। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আর হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কেউই এটাকে ভাল ভাবে নেননি।
বিসিবি সভাপতি এক পত্রিকার সাথে আলাপে অভিযোগ করেন, ‘তামিমের এই শতভাগ ফিট না থেকেও খেলাকে মোটেই ভালভাবে নেননি হেড কোচ হাথুরুসিংহে এবং রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক কথায় তামিমের ক্রমাগত ইনজুরি পড়ে কোন না কোন সিরিজ, ফরম্যাট না খেলা এবং আফগানদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ানডে সিরিজে সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়েও খেলতে নামা- মোটেই ভাল ভাবে নেননি বিসিবি প্রধান ও হেড কোচ। তারা তামিমের এমন আচরণে চটেছেন এবং কড়া ভাষায় সমালোচনাও করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, তার রেশ ধরেই দলের ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সমস্যার উদ্রেক ঘটেছে।
এমজে/