প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে মাংস, কৃষিপণ্যসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
যেসব পণ্যের দাম কমবে
মাংস
প্রস্তাবিত বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মাংসের দাম কমতে পারে।
এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট
উৎপাদনে উৎসাহিত করতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস সকেট আমদানি করতে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ রয়েছে।
প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক হার ১০-১৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এলইডি বাল্ব ও সুইস এবং সকেটের দাম কমতে পারে।
ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জ
প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের ডেলিভারি চার্জ কমবে।
মিষ্টিজাতীয় পণ্য
প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে মিষ্টির দাম কমতে পারে। মিষ্টির ওপর ভ্যাট অর্ধেক করার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বর্তমানে চালুকৃত ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্কছাড়ের কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দামও কমতে পারে। এছাড়া সফটওয়্যার, ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, বাইসাইকেল, অভিজাত বিদেশি পোশাকের দামও কমতে পারে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ চলতি বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।
দেশের ইতিহাসে বিশাল এ প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা।
এমজে/