দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, কক্সবাজারের টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সম্পদের তথ্য চেয়ে মাসখানেক আগে সাতটি দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেগুলোর তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করছি শিগগিরই উত্তর পাব। না পেলে দুদকের পক্ষ থেকে পুনরায় তাগাদা দেওয়া হবে।
সোমবার (২২ মে) চট্টগ্রামে দুদক আয়োজিত সততা সংঘের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ওসি প্রদীপের মামলা চলমান। মামলার রায়ও হয়েছে। তার সম্পদের নিশানা খোঁজার জন্য বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা দরকার। ৭ দেশে আমরা পত্রালাপ করেছি। কিন্তু সেটা বেশিদিন হয়নি, মাত্র এক মাস হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই জবাব আমরা পাব।
কতদিন সময় লাগতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। আমরা পত্র দিয়েছি। আশা করছি, তারা এর জবাব দেবে। যদি বিলম্ব হয় তাহলে আমরা আবার তাগাদা দেব।
দুদক কমিশনার বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি বিদেশে মানিলন্ডারিং করে থাকে, সেটির তদন্ত করা আমাদের নিয়মিত দায়িত্ব। কেউ অবৈধ উপার্জন করে দেশে রাখুক অথবা বিদেশে রাখুক, সেটা আমরা বের করে আনব। দুদক নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষকে টার্গেট করে না অথবা ছাড়ও দেয় না। দুদক সব ধরনের এমনকি সাধারণ মানুষের অবৈধ উপার্জনের বিষয়ে তদন্ত করে থাকে।
এর আগে সততা সংঘের সমাবেশে ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এটি দুদকের একার কাজ নয়। দুদকের পর্যাপ্ত জনবল নেই। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, শিশুদের চিন্তার খোরাক দিতে দুদক সততা সংঘের কাজটি করছে। শিশু বয়সে তারা ভালো কাজ শিখুক, সততার মধ্য থেকে বেড়ে উঠুক এজন্য কাজ করছে দুদক।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. শহীদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ ও মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম।
জানা গেছে, দেশের প্রতিটি উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব ও নৈতিকতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুদকের বিভিন্ন ‘সততা সংঘ’ রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সকল উপজেলার সততা সংঘের শিক্ষার্থীদের (১০৪ উপজেলার প্রতিটি তেকে দুজন করে প্রতিনিধি) নিয়ে আজ প্রথমবারের মতো সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এমজে/