সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু, জেলেরা পাচ্ছেন চাল

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন ও টেকসই মৎস্য আহরণে ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

শনিবার (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলে পল্লী ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে সভা ও মাইকিং করে জেলেদের সচেতন করেছে। এরই মধ্যে উপকূলে ভিড়েছে জেলেদের ট্রলার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে মাছের চাহিদা ও প্রজননের স্বার্থে ২০১৪ সাল থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

জেলেদের অভিযোগ, সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও উপকূলের কাছাকাছি ছোট মাছ ধরার নৌকার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া তাদের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনে। জেলে পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কমিয়ে ৩০ দিন করার দাবি জানান তারা।

তবে মাছ আহরণ বন্ধ থাকলে সরকারিভাবে বেকার জেলেদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু ডিঙি নৌকার ৫ হাজার জেলে এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত। চট্টগ্রামের নিবন্ধিত জেলে পরিবার রয়েছে ২৭ হাজার ৩টি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আমাদের একটি টিম সাগরে অভিযানে নেমেছে। এ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে৷ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কার্ডধারী জেলেদের জন্য মৎস্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ৮৬ কেজি চাল দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে আমরা ৫৬ কেজি করে দেবো, পরের ধাপে দেওয়া হবে ৩০ কেজি।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img