জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি কর্ণফুলী নদী ও খাল বাঁচাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
২২ মার্চ বুধবার নগরের ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডস্থ পাঠানিয়াগোদা সড়কের উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন মেয়র।
সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় সাবেক কাউন্সিলর নুরু ইসলাম এর বাড়ি সড়ক, আল আমিন বারিয়া সড়কের উন্নয়ন, রূপালী আবাসিক এলাকায় সড়কের উন্নয়ন, এন এম সি বাড়ি বাইলেইনের উন্নয়ন, মুকিম খন্দকার জামে মসজিদ পুকুর সংলগ্ন সড়কের উন্নয়ন, জব্বার চৌকিদার বাড়ি ও আবদুর ছবুর মুন্সী (শমসের পাড়া) সড়কের উন্নয়ন করা হবে।
মেয়র বলেন, চান্দগাঁও এলাকাবাসী নীচু সড়কের কারণে কষ্ট পাচ্ছে জেনে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কে আধুনিকায়ন করছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা কমবে, মানুষ সহজে চলাচল করতে পারবে। এসময় নতুন সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিদ্যমান সব কাঁচা সড়কেরও আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানান মেয়র।
নদী-খাল বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, বাকলিয়া থেকে মোহরা-চান্দগাঁওসহ চট্টগ্রামের নীচু এলাকাগুলোর মানুষেরা জলাবদ্ধতা সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে চট্টগ্রামবাসীকে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করছেন। তবে, বর্তমানে অসচেতন আচরণের কারনে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে খালের জায়গা ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এভাবে আমাদের নদী-খাল মেরে ফেললে কোন প্রকল্পই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করতে পারবেনা।
“একসময় কর্ণফুলী নদী, চাক্তাই খালসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক জলাধারে মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু, দখল-দূষণে এখন মাছতো দূরের কথা এগুলোর পানি মানুষের শরীরে লাগলে চর্ম্যরোগ হচ্ছে। আমাদের খেলার মাঠগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আমরাই সুন্দর চট্টগ্রামকে হীনস্বার্থে বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলছি। সরকার কাজ করছে তবে সরকারের কাজকে সাফল্যম-িত করতে হলে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোঃ এসরারুল হক, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিফাতুল করিম চৌধুরীসহ চসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ ও এলাকার সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।
এমজে/