পবিত্র কুরআন পোড়ানোর হুমকি দেওয়ায় ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থি রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদানকে নিষিদ্ধ করেছে ব্রিটেন।
ইসলামবিরোধী কট্টর উগ্রপন্থি দল স্ট্রাম কুরসের প্রতিষ্ঠাতা রাসমুস ব্রিটেনের ওয়েকফিল্ডে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন। খবর বিবিসির।
ব্রিটিশ নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনধাত বলেছেন, ইসলামবিরোধী দল স্ট্রাম কুরসের প্রতিষ্ঠাতা রাসমুস পালুদানকে ব্রিটেনের অভিবাসন নজরদারির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
উগ্রপন্থি রাসমুস পালুদান বলেছিলেন, তিনি চলতি সপ্তাহে ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের এই শহরের পাবলিক স্কোয়ারে মুসলমানদের পবিত্র এই ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
এর আগে পবিত্র কুরআনের একটি কপি ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে ওয়েকফিল্ড শহরের একটি স্কুলের চার শিক্ষার্থীকে বরখাস্ত করেছিল কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে পালুদান বলেন, রমজান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুধবার কুরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।
এরপর সোমবার ওয়েকফিল্ডের লেবার এমপি সাইমন লাইটউড ড্যানিশ রাজনীতিক পালুদানের সম্ভাব্য সফরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কট্টরপন্থি ড্যানিশ রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদান বলেছেন, তিনি ডেনমার্ক থেকে ওয়েকফিল্ডে আসবেন কেবল একটিই উদ্দেশে, আর তা হলো- পাবলিক প্লেসে কুরআন পোড়ানো।’
লেবার এমপি সাইমন লাইটউড আরও বলেন, ‘পালুদান তার ঘৃণ্য এবং বর্ণবাদী বক্তব্যের জন্য অতীতে ডেনমার্কে জেলে ছিলেন। তার মতো বিপজ্জনক ব্যক্তিকে এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত নয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি আমাকে এবং আমার এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করতে পারেন যে সরকার এটি প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে?’
জবাবে ব্রিটিশ নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনধাত বলেন, রাসমুস পালুদান ব্রিটেনের অভিবাসন নজরদারির তালিকায় রয়েছেন। ব্রিটেন রাসমুস পালুদানের সফর জনসাধারণের জন্য ভালো হবে না এবং তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে কুরআনের একটি কপি পুড়িয়ে দেন ড্যানিশ কুখ্যাত এই রাজনীতিক।
এই অপকর্ম করার সময় সুইডিশ পুলিশ তাকে নিরাপত্তা প্রদান করে। এর বিরুদ্ধে ইরানসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
এমজে/