আসন্ন বাজেটে আমদানি উপকরণের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর শূন্য হারে নামিয়ে আনা, কারখানার আয়ের উপর উৎস কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে রোজার মাসকে কেন্দ্র করে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক হার সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে নগরের আগ্রাবাদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রাক বাজেট প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক(শুল্ক নীতি), ড. সামস উদ্দিন আহমেদ(কর নীতি), জাকিয়া সুলতানা(মূসক নীতি), চট্টগ্রাম কাস্টমস, কাস্টমস বন্ড, ভ্যাট এবং আয়কর বিভাগের উচ্চ পর্দস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান করোনা মহামারীর পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনীতি ব্যবস্থা নিয়ে আলাচনা করেন। তিনি দেশের উন্নয়নে সরকারের নেওয়ার বিভিন্ন মেগা প্রকল্প এবং ক্রমবর্ধমান শিল্পের উন্নয়নে ও বিকাশ নিয়ে কথা বলেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি আমদানি করা উপকরণের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর শূন্য হার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই শতাংশ হারে নির্ধারনের প্রস্তাব করেন। এছাড়া ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো খাতের কর হার আট শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ নিয়ে আসা, বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের খাত গার্মেন্টসের আয়ের উপর উৎসে কর এক শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ত্রিশ শতাংশ করার দাবি জানান। সর্বশেষ তিনি প্রাইভেট আইসিডির ক্ষেত্রে ভারী সরঞ্জাম বা মেটেরিয়াল হ্যান্ডেলিং ডিভাইস আমদানির ওপর করের হার কমানোর দাবি জানান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রস্তাবগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার দাবি জানান।
এমজে/