অভিভাবক হিসেবে আমি গর্বিত : ওসি আব্দুর রহিম

নিজে পুরস্কৃত হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এস আই হুমায়ন কবির।একই সাথে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ বাকলিয়া, অপারেশন অফিসার ও টিম বাকলিয়ার নিকটও।

গতকাল ১৪ মার্চ,মঙ্গলবার নগরীর দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রধান কার্যালয়ে কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সিএমপির ফেব্রুয়ারি- ২০২৩ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষে এস আই হুমায়ন কবিরের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব ফয়সাল মাহমুদ, পিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব এম এ মাসুদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব আ স ম মাহতাব উদ্দিন, পিপিএম-সেবা; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সভায় ফেব্রুয়ারি-২০২৩ মাসে অস্ত্র, মাদক ও চোরাইগাড়ি উদ্ধার, ডিজিটাল জালিয়াতি করা হ্যাকারকে গ্রেফতার, ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন, মালামাল উদ্ধার ও ছিনতাইকারী গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতার, আত্মসাৎকৃত মালামাল উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতার, ছিনতাই ও ডাকাতি চেষ্টাকালে আসামি গ্রেফতার ও ভালো কাজের জন্য বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সকল স্তরের ২৫ জন পুলিশ সদস্যকে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন বাকলিয়া থানার কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম সিটিজি নিউজকে বলেন, পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আমার থানার দুই কর্মকর্তা তাদের কর্মের ওপর পুরস্কৃত হয়েছেন। তাদের কাজ ভালো হয়েছে। এটি তাদের এচিভমেন্ট। আমি অভিভাবক হয়ে খুবই গর্বিত এবং খুশি।

তথ্যমতে, এস আই হুমায়ন বন্দর নগরীর বিভিন্ন থানায় সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৭ সালের ৬ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রেমতলা এলাকার একটি বাড়িতে নব্য জেএমবির আস্তানায় যৌথ বাহিনীর ‘অ্যাসল্ট-১৬’ নামের চূড়ান্ত অভিযানে মৃত্যুবাজি রেখে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন।বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত জেএমবি সদস্য আটক সম্বলিত ছবিও ছাপা হয়েছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতেও।

এচিভমেন্ট প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার এস আই হুমায়ন কবির বলেন, এচিভমেন্টের পিছনে সব কৃতজ্ঞতা দক্ষিণ জোনের এবং আমার থানার সিনিয়র কর্মকর্তাদের। ওনারা আমাদের সঠিক দিক নির্দেশনা না দিলে আমরা মামলার আলামত উদ্ধারসহ অপরাধিদের আটক করা সম্ভব হত না। মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আলামত উদ্ধারে প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তারা কাজ করে থাকেন। তবে এতে একটু বেশি সময়ের দরকার হয়।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img