তার ক্যারিয়ারের শুরুটা স্বপ্নের মতো। টেনিস খেলে ভারতের মতো দেশে বড় তারকা হয়ে উঠা সহজ কথা নয়। কঠিন সেই কাজটাই করেছেন সানিয়া মির্জা। তবে ক্যারিয়ারে উত্থান-পতনও কম দেখেন নি তিনি। এরমধ্যে অপ্রিয় অনেক কিছুই বুলে যেতে পারলেও বুলতে পারেন নি বেইজিং অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গটা। এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারেন নি সেই ঘটনা।
সানিয়া ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকের মাঝপথ থেকে কেন সরে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে এতোদিন মুখ খুলেন নি। ১৩ বছর পর এসে এনিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় এই গ্ল্যামার গার্ল।
সানিয়া বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলতে নামলে প্রতিটি ক্রীড়াবিদ সেরাটা দিতে চেষ্টা করে। আমিও তেমন মেজাজ নিয়ে বেইজিং অলিম্পিক শুরু করতে চেয়েছিলাম। তখন আমার বয়স মাত্র ২০। কেলতে গিয়ে দেখলাম, হঠাৎ ডান হাতের কব্জির যন্ত্রণা খুব ভোগাচ্ছে। সেই চোট নসিক ভাবে ভেঙে দেয় আমাকে। তখন শুধুই কাঁদতাম। প্রায় এক মাস খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেই। প্রায় তিন-চার মাস নিজেকে ঘরবন্দি রেখে মানসিক অবসাদে ছিলাম।’
সেই অলিম্পিকে প্রথম রাউন্ডে সানিয়ার বিপক্ষে লড়ছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ইভেটা বেনেসোভা। সেই ম্যাচে ২-৬ ব্যবধানে প্রথম সেটে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সেটে ১-২ ব্যবধানে তখন পিছিয়ে সানিয়া। তখনই তার ডান হাতের কব্জির ব্যথা বাড়তে থাকে। এরপরই অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন এই টেনিস তারকা।
২০০৮ সালের সেই ঘটনা মনে হলে এখন অবশ্য ভুল বুঝতে পারেন সানিয়া। জানালেন, ‘মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে থাকে যেগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না আমাদের। বয়স বেড়েছে এখন, এ কারণেই মনে হয় তখন অবসাদে চলে গিয়ে নিজের ক্ষতি না করলেও চলত। আসলে কম বয়সে পরিচিতি পেয়ে যাওয়ার জন্য সবাই বাড়তি আশা করেছিল। সেটা পূরণ করতে না পারার জন্যই হয়তো এতটা বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম আমি।’
সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন অনেকটাই বাস্তববাদী হয়েছেন সানিয়া। সিদ্ধান্ত নিতেও শিখেছেন।
এন-কে