র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন জানিয়েছেন, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তারপরও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কড়া নজরদারি অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গি পালানোর পর তারা গ্রেপ্তার না হলেও কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই।
সোমবার বিকেলে একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহীদ দিবস উপলক্ষে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা এমনকি র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা এখন পর্যন্ত কোনো রকম হুমকির আশঙ্কা আছে বলে মনে করছে না। তারপরও আমাদের নজরদারি অব্যাহত রেখেছি। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, র্যাবের সাদা পোশাকধারী দলের সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে র্যাব-৩ এর ব্যবস্থায় ওই এলাকায় চেকপোস্টসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। শহীদ মিনারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিবেচনা করে র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সুইপিং সম্পন্ন করবে। এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, শহীদ মিনারে আগত নারীরা যেন ইভটিজিংয়ের শিকার না হয় সেজন্য নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি দেয়া হবে। ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো গুজব, উস্কানিমূলক তথ্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।
আদালত থেকে দুই জঙ্গি পালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, আদালত থেকে যে জঙ্গি পালিয়েছে এটা শুধু পুলিশের ব্যর্থতা নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সবার ব্যর্থতা। তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে। যদি তারা দেশের মধ্যে থেকে থাকে তাহলে ‘টুডে অর টুমোরো’ ইনশাআল্লাহ ধরা পড়বেই।
আমাদের যতটুকু তথ্য, তারা দেশেই আছে। আপনারা জানেন, র্যাব টেকনোলজির মাধ্যমে কাজ করে আসামি ধরে। তারা চতুর হয়ে গেছে। তারা টেকনলোজি কাছেই রাখে না। আমাদের মেনুয়ালি কাজ করতে হচ্ছে।
এমজে/