আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের উন্নয়নে বিশ্বাস করে- মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণমানুষ যেন ভালো জীবনযাপন করতে পারে, আমরা সেটা চেষ্টা করি। আমরা দেশের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, “যারা ৩০ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারা কী করেছে আর আওয়ামী লীগ কী করেছে, আমি আশা করি দেশবাসী বিবেচনা করে দেখবেন।”
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের একশ মহাসড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ যখন যাত্রা শুরু করে, ঠিক সেই সময়েই ৭৫’র ১৫ আগস্টের আঘাতটা আসে। থেমে যায় উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতো।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কত দেশকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখি। প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন, তার হাতে যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকতো, তাহলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত।
কিন্তু ঘাতকদের কারণে সেটা হতে পারেনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করি।”
দেশের উন্নয়নে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। ই-গভর্ন্যান্স, ই-এডুকেশন অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এভাবেই আমরা পরিকল্পনা করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চান।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আমরা এটাই করে যাব। যারা বলে কিছু করিনি, তাদের প্রশ্ন করব ১০০ সড়ক এক দিনে, ১০০ সেতু এক দিনে উদ্বোধন আগে কেউ করেছে? করেনি।”
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত ছিল টাঙ্গাইল ও খুলনা জেলা। বাকি জেলাগুলো প্রোজেক্টরের মাধ্যমে যুক্ত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মূখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমজে/