রাশিয়ার হামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে ধ্বংস হয়েছিল ‘ইউক্রেনের তৈরি’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্গো উড়োজাহাজ আন্তোনভ এএন-২২৫ ‘ম্রিয়া’। রাজধানী কিয়েভের কাছে হোস্তোমিল বিমানবন্দরে হামলায় উড়োজাহাজটি ধ্বংস হয়।
উড়োজাহাজটি আবারও নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু করেছে আন্তোনভের প্রস্তুতকারকেরা। এজন্য বিভিন্ন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহের সম্ভাবনা বিবেচনা করা হচ্ছে। অনেক সংস্থা প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
৭ নভেম্বর আন্তোনভ কোম্পানি এক টুইটে ঘোষণা দেয়, উড়োজাহাজটি পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। নকশার কাজও দৃশ্যমান। এটি মেরামতের মাধ্যমে ওড়ার উপযোগী করে তুলতে ৫০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ ধরনের একটি নতুন উড়োজাহাজ নির্মাণে যত উপাদান লাগে, তার ৩০ শতাংশ সরঞ্জাম প্রতিষ্ঠানটির কাছে আছে।
মূলত ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি ইউক্রবোরনপ্রমের ব্যবস্থাপনায় আন্তোনভ পরিচালিত হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এই কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে, এই উড়োজাহাজ পুনর্নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। এই অর্থ রাশিয়া থেকে আদায় করা হবে। এটি পুনর্নির্মাণে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা টুইট করে রুশ আক্রমণে উড়োজাহাজটি ধ্বংস হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ এএন-২২৫ ম্রিয়া (ইউক্রেনীয় ভাষায় এর অর্থ স্বপ্ন)। রাশিয়া হয়তো আমাদের স্বপ্ন ধ্বংস করেছে। তবে শক্তিশালী, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ইউরোপীয় রাষ্ট্র নিয়ে আমাদের স্বপ্নকে তারা কখনো ধ্বংস করতে সমর্থ হবে না। আমরা জয়ী হবো। ।
এএন-২২৫ ১৯৮৫ সালে তৈরি, প্রথমবার ১৯৮৮ সালে এটি ওড়ানো হয় । এতে ৩০টির বেশি চাকা, ছয়টি ইঞ্জিন ও ২৯০ ফুটের পাখা ছিল। আনলোডেড অবস্থায় এয়ারক্র্যাফটির রেঞ্জ ১৫ হাজার ৪০০ কিলোমিটার, লোডেড অবস্থায় ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। এর নাম ম্রিয়া, ইউক্রেনিয়ান ভাষায় যার অর্থ ড্রিম বা স্বপ্ন।