‘দেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসুবিধা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার আবেদন বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার দুপুরে ঢাকার মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সায়েদাবাদের আর কে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
‘বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হোন, সেটিই আমরা চাই এবং এজন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আজ বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে বেগম জিয়া দ্রুত আরোগ্যলাভ করছেন, এটি অত্যন্ত সুখবর।
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসুবিধা পাচ্ছেন এবং এটি নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সর্বোচ্চ চিকিৎসাসুবিধার ফলে ইতোমধ্যেই তার করোনা নেগেটিভ এসেছে। এজন্য চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানাই।’
‘কিন্তু এরপরও বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য বিএনপির আবেদন-নিবেদনের হেতু বোধগম্য নয়, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে, কারণ তিনি এখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা পজিটিভ কোনো রোগীকে অন্য কোনো দেশ নিচ্ছেনা এবং নেগেটিভ হবার পরও বেশ কিছুদিন যে নানা শারিরীক সমস্যা থাকে, তা আমার করোনা হয়েছিল বলে আমি জানি, এগুলো স্বাভাবিক। বেগম জিয়াকে এখন বিদেশে নয়, দেশেই তার সেবা-শুশ্রুষা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সেকারণে বেগম জিয়াকে তাদের (বিএনপির) বিদেশে নিয়ে যাবার আবেদনের উদ্দেশ্য চিকিৎসা নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলেই আমার মনে হয়।’
স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাদত হোসেন টয়েলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুল গণি ও স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ । স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচশত পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।