দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও মহাসড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, স্থানীয় বাস, ট্রাক ও গ্রামের রাস্তায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসগুলোতে সীমিত যাত্রী বহন করা হলেও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। কুমিল্লা-সিলেট ও কুমিল্লা-নোয়াখালী- চট্টগ্রামের যাত্রীগণ ভেঙে ভেঙে পথ পাড়ি দিয়ে কুমিল্লা শহরে পৌঁছে সেখান থেকে স্থানীয় পাপিয়া পরিবহনের বাসে করে দাউদকান্দি যাচ্ছে। দাউদকান্দি পৌঁছে মেঘনা- গোমতী সেতু পেরিয়ে কাঁচপুর গিয়ে রাজধানী যাচ্ছে।
এদিকে এ সড়কে রেন্ট-এ-কার এর ব্যবসা খুবই জমজমাট রূপ নিয়েছে। গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মাথাপিছু দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা করে মাইক্রোবাসগুলো যাত্রী পরিবহন করছে। গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর ৪/৫ মিনিটের মধ্যেই মাইক্রোবাসগুলো যাত্রী-বোঝাই হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা হচ্ছে কাঁচপুরেও। অন্যসময় একমুখী যাত্রী পরিবহন করলেও এখন দুই দিক থেকেই যাত্রী পাচ্ছে বিধায় তাদের ব্যবসা খুবই জমজমাট।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, যে সকল গাড়ি চলার অনুমতি আছে তা চলাচল করছে। তবে গাদাগাদি করে কোনো গাড়িই চলতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের মাস্কপরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।