বিশ্বকাপের শুরু আগে গা গরম করাসহ দলের সমন্বয় বুঝে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচের বিকল্প নেই। যে কোনো দলই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে থাকে।
শুধু ব্যতিক্রম কোস্টারিকা। ইরাকের বিপক্ষে নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করে দিয়েছে মধ্য আমেরিকার দেশটি।
কাতার বিশ্বকাপে সবচাইতে কঠিন গ্রুপে পড়েছে কোস্টারিকা। ‘ই’ গ্রুপে জার্মানি, স্পেন ও জাপানের বিপক্ষে খেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে তাদের।
অথচ প্রস্তুতি ম্যাচই খেলল না দলটি! অবশ্য খেলার ইচ্ছাই ছিল ব্রায়ান রুইজের দল।
কিন্তু শেষ দিকে এসে আর রাজি হয়নি তারা। কারণ বৃহস্পতিবার ইরাকের বসরায় হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। যে জন্য কোস্টারিকা দলকে যেতে হতো ইরাকে।
কিন্তু পাসপোর্টে ইরাকের ইমিগ্রেশন সিল পড়লে ভবিষ্যতে ঝামেলা হবে ভেবে ম্যাচই বাতিল করে দিয়েছে কোস্টারিকা।
কোস্টারিকান ফুটবল ফেডারেশনের (এফসিআরএফ) পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে— ‘পাসপোর্টে সিল না মারার বিষয়ে যে সমঝোতা হয়েছিল, সেটি রক্ষা করা হয়নি। এ কারণে ইরাকে প্রবেশ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে।’
ইএসপিএন জানিয়েছে, বুধবার রাতে বাসে করে কুয়েত-ইরাক সীমান্তে পৌঁছায় কোস্টারিকা দল। নিয়মানুযায়ী দলটির পাসপোর্টে ইরাকি ইমিগ্রেশনের সিল মারতে গেলে রাজি হননি কোস্টারিকার খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। কোস্টারিকা দল চাচ্ছিল, কারও পাসপোর্টে যেন ইরাকের ইমিগ্রেশন সিল না পড়ে। কিন্তু তাদের অনুরোধ রাখেনি ইরাকি কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে ঝামেলা বাঁধলে ইরাকে প্রবেশ না করে কুয়েতে ফিরে গেছে কোস্টারিকা দল।
পাসপোর্টে ইরাকের সিল পড়লে সমস্যা কোথায়?
তার ব্যাখ্যায় কোস্টারিকান ফুটবল ফেডারেশনের মুখপাত্র জিনা এসকোবার বলেছেন, ‘ইরাকের মতো দেশগুলাতে প্রবেশ এবং পাসপোর্টে সিল থাকা ভবিষ্যতে অন্য দেশে প্রবেশে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অফিসিয়াল প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে। আমাদের তখন জিজ্ঞেস করা হতে পারে ইরাকে কেন গেছেন। এ ধরনের সমস্যা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।’