জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে নারীরা সব সময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এ সময় তিনি শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বুধবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএন ওমেন’র সহযোগিতায় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংস্থা আয়োজিত ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা স্থানীয়করণ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, সংঘাতময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে ২০০০ সালে জাতিসংঘ রেজুলেশন ১৩২৫ নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা গ্রহণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার নারীদের সম্পৃক্তকরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সমঅংশগ্রহণ এবং নারীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সব সময় মানবাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ফলে সব ক্ষেত্রে নারীদের দৃশ্যমান উপস্থিতি রয়েছে। নারীদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে, ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা স্থানীয়করণে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পিস বিল্ডিংয়ে নারীদের ভূমিকা সহজাত। সে জন্য তারা লোকাল ডায়লগ এবং নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন। এ সময় নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য শবনম জাহান, সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার, সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি, সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ, সংসদ সদস্য অ্যারমা দত্ত, সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতাসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা মতামত প্রদান করেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপিএস’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ইউএন উইং) তৌফিক ইসলাম শাথিল। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডা হাই কমিশনের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) ব্র্যাডলি কোটস, ইউএন ওমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলি সিং এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।