চট্টগ্রামে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ এবং ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে চলছে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠানে তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন– কর্ণফুলী উপজেলার আমিনুল হকের ছেলে মোরশেদুল ইসলাম, আবু তাহেরের ছেলে কাওসার, মৃত শাহ আলমের ছেলে সালাউদ্দিন মণ্ডল।
আশরাফুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে আটক তিন জনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’
কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী (আনারস)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জুলধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির আহমদ (চশমা), উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. মহিউদ্দিন মুরাদ (উড়োজাহাজ), মো. আবদুল হালিম (তালা)।
নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিকলবাহা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম বকুলের মেয়ে ডা. ফারহানা মমতাজ (ফুটবল), মোমেনা আক্তার (কলস), বানাজা বেগম (হাঁস) এবং রানু আকতার (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার এক লাখ ১৬ হাজার ৫৭২ জন। উপজেলা গঠনের পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে ৪২টি কেন্দ্রের ৩২০টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’
অপরদিকে, ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে লড়ছেন তিন জন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এএসএম মিনহাজুল ইসলাম জসিম (মোবাইল) ও কামাল পাশা চৌধুরী (নারকেল গাছ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সাত জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৮ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৫ হাজার সাত জন।