‘শেষ দিকে সাকিবের দারুণ ফিল্ডিং খেলাটা ঘুরিয়ে দিল’

পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে উজ্জীবিত জিম্বাবুয়ে মাত্র ৩ রানে হারল বাংলাদেশের কাছে। হারটা ৪ রানের হতে পারত। কিংবা হয়তো হারতেনই না ক্রেইগ আরভিনরা যদি না পপিং ক্রিজে টেলএন্ডার মুজারাবানি থাকতেন।

মোসাদ্দের শেষ বলে ব্যাট ছোঁয়াতে না পারলে স্টাম্পড হন মুজারাবানি। ৪ রানের জয়ের উচ্ছ্বাসে মাঠ ছেড়ে চলে যান টাইগাররা। কিন্তু রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ার জানালেন, উইকেটে আগেই বল গ্লাভসবন্দি করেছেন কিপার সোহান। ফলে নো বল হয়েছে এটি। আউটের বদলে ফ্রি হিট পায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয়বারও ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি মুজারাবানি।

এমন নাটকীয় জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অবশ্য সাকিব আল হাসানকে কৃতিত্ব দিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।

তার মতে, ৬৪ রানে দুর্দান্ত ব্যাট করে জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া শন উইলিয়ামসকে রানআউট করেই বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়েছেন সাকিব।

ম্যাচ–পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ক্রেইগ আরভিন বললেন, ‘প্রথমে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। সেখান থেকে উইলিয়ামস খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। রায়ানের সঙ্গে ওর জুটিটা আমাদের জয়ের আশাও জাগিয়ে তুলেছিল। কিন্তু শেষ দিকে সাকিবের দারুণ ফিল্ডিং খেলাটা ঘুরিয়ে দিল।’

ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ওই রানআউটের কথাই বলেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, ‘প্রথমে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। সেখান থেকে উইলিয়ামস খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। রায়ানের সঙ্গে ওর জুটিটা আমাদের জয়ের আশাও জাগিয়ে তুলেছিল। কিন্তু শেষ দিকে সাকিবের দারুণ ফিল্ডিং খেলাটা ঘুরিয়ে দিল।’

তবে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের প্রশংসাও করতে ভুললেন না আরভিন।

৩৭ বছর বয়সি এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ম্যাচটা জেতার ভালো সুযোগ ছিল আমাদের। তবে বাংলাদেশ খুবই ভালো ফিল্ডিং করেছে। বোলিংটাও ভালো ছিল তাদের।’

এরপর আরভিনকে সঞ্চলক মাইকেল আথারটন চোখে-মুখে বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘ শেষ বলে নো বল, এমন কিছু আমি আগে দেখিনি, আপনি দেখেছেন?’

ক্রেইগ আরভিন জবাব দিলেন, ‘না, আমিও আমার ক্রিকেটজীবনে এমন কিছু কখনো দেখিনি। কোথাও শুনিওনি। মনে হচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপ সবই দেখাচ্ছে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img