ভারতে আগামী আগস্টের মধ্যে ১০ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে বলে একটি সংস্থা জানিয়েছে। গতকাল এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে ভারত। কেন্দ্রীয়ভাবে লকডাউন দেওয়া না হলেও রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন দেওয়া শুরু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। খবর রয়টার্স ও আনন্দবাজার পত্রিকার
ভারতে ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা করোনা ভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর এক দিনে মৃতের সংখ্যায় সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট মারা গেল প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার। শনিবার ৪ লাখ ১ হাজার ৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পরপর তিন দিন দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়াল। ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৭৮ জন। এ নিয়ে ভারতে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৬ জন। দ্য ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভোলিউশন এক হিসাবে জানিয়েছে, আগস্টের মধ্যে ভারতে ১০ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন: কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন দিতে রাজি নয়। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যগুলোতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কর্নাটকের পর গতকাল তামিলনাড়ুতেও কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। দেশটির অর্ধেকের বেশি রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলোতে আংশিক লকডাউন দিয়েছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে: রাজ্য জুড়ে নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে ঠেকানো যাচ্ছে না। শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ১৯ হাজার ২১৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এর মধ্যে কেবল উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই নতুন আক্রান্ত ৩ হাজার ৯৫৭ জন। অন্যদিকে কলকাতায়ও নতুন করে ৩ হাজার ৯১৫ জন সংক্রমিত হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৮২।
স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, সংক্রমণের মোট হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮০ শতাংশে। আক্রান্তের সংখ্যার মতোই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিডে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১২ জন কোভিড মারা গেছেন।