রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লিপাত্র) স্থাপনকাজের উদ্বোধন হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূলযন্ত্র। এর ভেতরে ইউরেনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদন হয়, যা কাজে লাগিয়ে তৈরি হয় বিদ্যুৎ।
রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের ফলে ঐতিহাসিক এ প্রকল্পের সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপনকাজ শেষ হলো। এখন শুধু অপেক্ষা বিদ্যুৎ উৎপাদনের।
পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের আগে রিঅ্যাক্টর ভবনের বিভিন্ন স্তরের অবকাঠামোসহ সংশ্লিষ্ট পর্যায়গুলো এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
৩৩৩ দশমিক ৬ টন ওজনের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর ভেসেল প্রস্তুত করতে দুই বছরের বেশি সময় লাগে। এ রিঅ্যাক্টর ভেসেল কৃষ্ণসাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে ১৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের মোংলাবন্দরে আসে। এ রিঅ্যাক্টর ভেসেল পরিবহণে সময় লাগে দুই মাসের বেশি।
রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রয়েছে রাশিয়া। প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপনকাজের উদ্বোধন হয়। প্রথম ইউনিটের কাজের ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তার এক বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হলো আজ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ড. সৌকত আকবর, প্রকল্পের ঠিকাদার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাটমের অন্যতম প্রধান নির্বাহী আলেক্সি লিখাচেভ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুল, স্থানীয় এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলিসহ রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন ঈশ্বরদী উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম মোসাদ্দেক আহমেদ।
ইউআর/