গণতন্ত্র নিয়ে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের ছবক দেওয়া বন্ধ করে কূটনীতিকরা শিষ্টাচার মেনে চলবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য শুনতে চাওয়া ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রকাশ বলেও মন্তব্য করে মোমেন বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চায় দুর্বলতা থাকতে পারে, আর সেটা যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদদৌল্লাহর ঢাকা সফর সামনে রেখে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরাও।সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র চায় বলে জানিয়ে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কূটনীতিকদের তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকরা যথেষ্ট ম্যাচিউরড। আশা করি, তারা কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলবেন।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতাম, তখন তারা আমার দেশের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেন। তবে পরে আমি যখন কূটনীতিক ছিলাম, তখন তারা আমাকে আর দেশের কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেননি।
মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের নানা দিক তুলে ধরে সেসব নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করতে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
ইউআর/