কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। জলবায়ু রক্ষায় উন্নত দেশ থেকে ফান্ড পাওয়া যাবে না ও তারা প্রতিশ্রুতি রাখবে না, সেটি জেনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করে যাচ্ছেন।’
শনিবার (১ অক্টোবর) গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাতিতে সিসিডিবি ক্লাইমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শনিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী অকাতরে কৃষিতে ও কৃষি-সংক্রান্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বরাদ্দ দিচ্ছেন এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমরা সারের জন্য যদি বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে পারি, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্যও বরাদ্দ অব্যাহত রাখতে পারব। বর্তমান সরকার তা মোকাবিলা করে যেকোনও মূল্যে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের কৃষি খাত উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি খাতে যে ক্ষতি হবে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হুমকির মধ্যে রয়েছে দেশের গ্রামের কৃষকরা। কারণ, দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষিকে সর্বপ্রথম রক্ষা করতে হবে। এটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে অন্যান্য খাতকেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দুই মিলিয়ন হেক্টর জমি লবণাক্ত। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে লবণাক্তসহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের চাষ শুরু হয়েছে, যা কৃষকদের মাঝে প্রচুর সাড়া ফেলেছে।’
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, সিসিডিবির অ্যাডভাইজরি বোর্ডের কো-চেয়ারম্যান পানি বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত, বোর্ডের সদস্য জলবায়ু বিজ্ঞানী সালিমুল হক, ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড-জার্মানির পরিচালক পেট্রা বারনার, সিসিডিবি কমিশনের চেয়ারম্যান ডেভিড এ হালদার, সিসিডিবির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ইউআর/