স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় নাজেহাল পাকিস্তান। এই অবস্থায় পাকিস্তানের সফররত সেনাপ্রধানকে কারিগরি সহায়তার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। যদিও ‘সব সময়ের’ মিত্র পাকিস্তানকে কোনো আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেয়নি বেইজিং।
আর্থিক চাপের সম্মুখীন পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা আর্থিক সহায়তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি না হওয়ায় উভয় দেশই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দিকে ঝুঁকেছে।
তবে আইএমএফকে দেওয়া তাদের নতুন প্রতিশ্রুতি এখন চীনের কাছে তাদের পাওনা অর্থপ্রদানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ দুই দেশই গত পাঁচ বছরে চীনের কাছ থেকে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছে।
চীনের জিয়ানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংহে এর মধ্যে আলোচনার পর চীন পাকিস্তানের বন্যা ত্রাণ কাজের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বলে পাকিস্তানের সরকারি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে।
জেনারেল ওয়েই উভয় দেশকে ‘একসঙ্গে অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে, একে অপরকে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করতে এবং এগিয়ে যাওয়ার পথে একে অপরের মূল স্বার্থকে অটলভাবে সমর্থন করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সহায়তার কোনো প্রস্তাবের বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি। বেইজিং এর আগে ইসলামাবাদকে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ত্রাণ সরবরাহ করেছিল বলে চীনের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের সরকার আইএমএফকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা চীনা প্রকল্পের পাওনা প্রদানের ক্ষমতা হ্রাস করবে বা ঋণ পুনর্গঠন করবে।
এদিকে, শ্রীলংকাও বেইজিংকে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু কয়েক মাস ধরে টানা আলোচনায় কোনো চুক্তি হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। শ্রীলংকায় বিদ্যমান ঋণ পুনর্গঠনের পরিবর্তে ইতোমধ্যেই ঋণে জর্জরিত দেশটিতে নতুন করে ঋণ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বেইজিং।
ইউআর/