বাংলাদেশ সীমান্তে গোলাগুলির দায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর চাপিয়েছে মিয়ানমার সরকার।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে উল্টো বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ‘ঘাঁটি’ থাকার অভিযোগ তুলে সেগুলোর তদন্ত এবং অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উ জাউ ফিউ উইন।
এর পর রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে সেই বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের তুলে ধরা বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গোলাগুলির বিষয়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে ইয়াঙ্গুনের অবস্থান তুলে ধরেছেন মহাপরিচালক ফিউ উইন।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাস্তব ঘটনা তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেছেন— মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে অব্যাহতভাবে এ ধরনের হামলা চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী-আরসা।
তিনি বলেন, সীমান্ত নিকটবর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার সবসময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে চলে এবং বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা জানায়।
মিয়ানমারের দিক থেকে আরাকান আর্মিকে দায়ী করে এর আগেও বক্তব্য দেওয়া হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশেদ আলম। ইয়াঙ্গুনের ওই বক্তব্যকে ‘গতানুগতিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন তিনি।
সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চতুর্থবারের মতো তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একই সময়ে মিয়ানমারের গোলাগুলির বিষয়টি ঢাকায় নিযুক্ত অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) দেশগুলোর দূতদের জানিয়েছে সরকার।
ইউআর/