হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে।
সোমবার টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এ কথা বলেন।
আকাশ থেকে যেন দেশের উন্নয়ন দেখা যায়, সেদিকেও নজর দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান পরিবহন সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান মাহবুব আলী।
থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি। তখন সব নিয়ম ও শর্ত পরিপালন করে যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন, তারাই এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদান করা, তার জন্য করণীয় সব কাজ করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘থার্ড টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে কোনও ধরনের আপোস করা হয়নি, ভবিষ্যতেও করা হবে না। দরপত্রে উল্লেখিত মানের পণ্যই প্রকল্পের কাজে সরবরাহ ব্যবহার করা হবে, অন্য কোনও কিছু গ্রহণ করা হবে না। রাষ্ট্রের বা জনগণের এক পয়সা ক্ষতি হয়, এরকম কোনও কিছু এখানে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান আকাশপথে মানুষ আসার সময় যেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অনুভব করতে পারেন। সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।’
মাহবুব আলী বলেন, ‘ইতোমধ্যে সিলেট, চট্টগ্রাম ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। যারা সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে গিয়েছেন, প্রত্যেকেই এর ডিজাইন দেখে পছন্দ করেছেন। রাজশাহী এয়ারপোর্ট, বরিশাল এয়ারপোর্টের কাজেও হাত দেয়া হবে।’
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন সারা পৃথিবীর আকর্ষণ। জার্মানি-সুইজারল্যান্ড সবারই দেশের এয়ারপোর্টের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের আকাশপথ আরও উন্নত করতে। যেন সবাই আকাশপথে বাংলাদেশের উন্নয়ন অনুভব করতে পারেন।’
থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে ২২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে। বিদ্যমান অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর হওয়ায় তখন যাত্রীরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের এভিয়েশন সেক্টরে বড় ধরনের বিপ্লব হচ্ছে। তার নির্দেশনা অনুসারে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।’
থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, মহিদুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
ইউআর/