গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বাসচাপায় সেনাসদস্যসহ দুই জন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বাসচালক আল-আমিনের বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশের গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন নিহত সেনাসদস্য শাকিল আহম্মেদের (২৪) বাবা আবদুল মজিদ।
এর আগে রবিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বগুড়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রহবল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাকিল আহম্মেদ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের সিহালী কুমলিহার গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। তিনি সৈনিক পদে কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় নিহত তার আত্মীয়ের নাম সাবিনা ইয়াসমিন সোনিয়া (২০)। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাকইল সোনাতলাপাড়ার সাইফুল ইসলামের মেয়ে এবং গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আশিক ইকবাল জানান, রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে সেনাসদস্য শাকিল আহম্মেদ তার আত্মীয়কে মোটরসাইকেলে নিয়ে বগুড়া থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বগুড়ার শিবগঞ্জের শেষপ্রান্ত দো-সীমানা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পৌঁছালে রংপুর থেকে পাবনাগামী নবীন বরণ পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে শাকিল ও সোনিয়া মোটরসাইকেল থেকে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তারা। মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায়। এ অবস্থায় বাসচালক পালিয়ে যেতে থাকেন। কিছু দূর যাওয়ার পর মোটরসাইকেলে আগুন ধরে গেলে চালক বাস থামান। এরপর মোটরসাইকেল বের করে বগুড়ার দিকে পালিয়ে যান। দুর্ঘটনার পর শাকিলের পকেট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করে শাকিলের পরিচয় নিশ্চিত হন স্থানীয়। লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পর নিহত তরুণীর পরিচয় মেলে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর বিকাল সোয়া ৩টার দিকে হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া সদরের মাটিডালি বিমান মোড় থেকে বাসসহ চালক আল-আমিনকে আটক করে। আল-আমিনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলরা মশিপুর গ্রামে।
হাইওয়ে পুলিশের গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, লাশ বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শাকিলের বাবা আবদুল মজিদ থানায় বা চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। চালককে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
ইউআর/