তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করা দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নিয়ে মুখ খুলেছে চীনের সেনাবাহিনী। রোববার চীনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই যুদ্ধজাহাজ দুটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিষয়টি নিয়ে তারা উচ্চ সর্তকতা বজায় রেখেছে এবং যেকোনো উসকানি মোকাবেলায় প্রস্তুত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিতর্কিত তাইওয়ান সফরের চীনের কড়া প্রতিক্রিয়ার পর এই প্রথম মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করেছে।
মার্কিন গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিট্যাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরভিল রোববার তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে।
জাপানে অবস্থিত মার্কিন সপ্তম নৌবহরের সদর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গভীর সমুদ্রে জাহাজ চলাচলের আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তাইওয়ান প্রণালীতে এই যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতিতে আরও বলেছে, কোনো দেশের উপকূলীয় সীমা ব্যবহার করেনি এ সব যুদ্ধজাহাজ। আন্তর্জাতিক আইন অনুমোদন দিলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেকোনো জায়গায় সামরিক বাহিনী এবং তাদের যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে পারে।
তাইওয়ানকে চীন তার নিজস্ব ভূখণ্ড মনে করে এবং বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাইওয়ান ইস্যুতে এক চীননীতি মেনে চলে।
চীন বারবার বলে আসছে- তারা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে যুক্ত করতে চায়, এজন্য প্রয়োজন হলে তারা শক্তিও প্রয়োগ করবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতি মেনে চললেও তাইওয়ানকে স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাইওয়ানের জনগণের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার উসকানি দেয়। মার্কিন সরকার বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামও তাইওয়ানে পাঠায়।
ইউআর/