এশিয়ার ‘ওয়াটার টাওয়ার’ হিসেবে পরিচিত তিব্বত মালভূমি প্রায় ২০০ কোটি মানুষের বিশুদ্ধ পানি উৎস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে অঞ্চলটির বিশুদ্ধ পানির মজুত প্রায় ধসে পড়তে পারে।
এই শতকের মাঝামাঝিতে এশিয়ার ‘ওয়াটার টাওয়ার’ হিসেবে পরিচিত তিব্বত মালভূমি পানির মজুতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হারাতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত এটিই বিস্তৃত গবেষণা। এটি প্রকাশিত হয়েছে ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালে।
গবেষণা অনুসারে, মধ্য এশিয়া ও আফগানিস্তানে সরবরাহ করা আমু দারিয়া অববাহিকার পানি সরবরাহের সামর্থ ১১৯ শতাংশ হ্রাস পাবে। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে সরবরাহ করা সিন্ধু অববাহিকার সামর্থ কমবে ৭৯ শতাংশ। দুটি উৎস মিলিয়ে এর প্রভাব পড়বে বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষের ওপর।
পেন স্টেট ইউনিভার্সিটি, টিসিঙ্গুয়া ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের একদল বিজ্ঞানী তাদের গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গত কয়েক দশকে স্থলজ পানির মজুতের গুরুতর অবক্ষয় ঘটেছে। এর মধ্যে ভূগর্ভ ও ভূপৃষ্ঠের পানি রয়েছে। তিব্বত মালভূমির নির্দিষ্ট অঞ্চলে এই অবক্ষয়ের পরিমাণ বছরে ১৫.৮ গিগাটন।
এ প্রবণতার ভিত্তিতে গবেষক দল ধারণা করছেন, মাঝারি কার্বন নির্গমন পরিস্থিতিতে (এসএসপি ২-৪.৫) পুরো তিব্বত মালভূমিতে এই শতকের মাঝামাঝিতে ২৩০ গিগাটন পানি অবক্ষয় হতে পারে।
পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানের অধ্যাপক মাইকেল মান বলেন, এই পূর্বাভাস ভালো নয়। এখনকার মতো সবকিছু যদি চলমান থাকে, আগামী কয়েক দশকে অর্থবহভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়ানো কমাতে না পারলে আমরা ধারণা করছি তিব্বত মালভূমির প্রায় ১০০ শতাংশ পানির অবক্ষয় হতে পারে।
ইউআর/