কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে কাতারের শ্রমমন্ত্রী আলী বিন সামিখ আল মাররি’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর অফিস কক্ষে কাতারের শ্রমমন্ত্রীর আলী বিন সামিখ আল মাররি’র সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন, কাতারের শ্রম আইন, কর্মীদের সামগ্রিক সুরক্ষা ও দায়িত্ব-কর্তব্য অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও বৈঠকে কাতারে নার্সিং, হসপিটালিটি, নির্মাণ, সেবা এবং আইটি খাতে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কর্মীরা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং দায়িত্বশীল। তারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে অবদান রাখছে। এছাড়াও বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতার মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ মন্ত্রী কাফালা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এবং ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ বিষয়ে কাতারের ইতিবাচক সংস্কারের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে কাতারের শ্রম মন্ত্রী বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘কাতারের শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। এই আইনে দেশীয় শ্রমিকদের মতো বিদেশি শ্রমিকরা যাবতীয় সুবিধা পাবেন।’ তিনি কাতারের শ্রমবাজার উপযোগী দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি জানান, নিয়োগকর্তারা বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও ধরণের আইন পরিপন্থী কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাতারে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য ওয়েলফেয়ার ফাণ্ড গঠন করা হয়েছে। কোনও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পাওনা পরিশোধ করতে অসমর্থ হলে এই তহবিল থেকে অর্থ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের কাতারের আইন মেনে চলার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন– কাতার শ্রম মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি হাসান আল ওবাইদলি, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।
ইউআর/