তুরস্ককে ধন্যবাদ জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ইউক্রেনের শস্য রফতানি চুক্তিতে ‘প্রধান ভূমিকা’ রাখায় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের শস্য রফতানির কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে গঠিত জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে (জেসিসি) তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চুক্তিতে আঙ্কারার ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ আগ্রাসনের ঘটনায় প্রথমবারের মতো ইউক্রেনীয় শস্য রফতানি মুখ থুবড়ে পড়ে। শস্য রফতানিতে দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটতে গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় মস্কোর সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হয় কিয়েভ। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ নামে পরিচিত। আঙ্কারা জানিয়েছে, এর আওতায় ইতোমধ্যেই ২৭টি জাহাজ ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর উপকূলীয় বন্দর ছেড়ে গেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ওই চুক্তিতে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্যের পাশাপাশি রাশিয়ায় উৎপাদিত খাদ্যশস্য এবং সারও বিশ্ববাজারে আনার কথা বলা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন দেশের সরকার ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতা করা উচিত।

জেসিসি-তে প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিনিধি দলে থাকা ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক ও জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন গুতেরেস।

রাজনৈতিক সদিচ্ছা, অপারেশনাল দক্ষতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের ওপর জোর দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

তার ভাষায়, ‘এই চুক্তির অন্য অংশটি হলো বিশ্ববাজারে রুশ খাদ্যশস্য ও সারের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, যা নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত নয়। এগুলো বাজারে আনতে সব দেশের সরকার এবং বেসরকারি খাতের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।’

২০২২ সালে সার না পেলে ২০২৩ সালে বিশ্বে খাবারের পর্যাপ্ত যোগান নাও থাকতে পারে বলেও সতর্ক করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, পণ্যের বাজারকে আরও শান্ত রাখতে এবং ভোক্তাদের জন্য অপেক্ষাকৃত কম দাম নিশ্চিত করতে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে আরও বেশি সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার শুরুতে রয়েছি। গতকাল আমি ওডেসা বন্দরে ছিলাম। সেখানে একটি জাহাজে গম লোড হতে দেখেছি। জাহাজে গম ভরতে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি।

ইউআর/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img