তাইওয়ানকে ঘিরে নতুন করে সামরিক শুরু করেছে চীন। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের প্রতিবাদে নির্ধারিত মহড়া রবিবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার নতুন করে আকাশ ও সমুদ্রপথে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীনা সামরিক বাহিনী।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সোমবার (৮ আগস্ট) জানিয়েছে, তারা নৌ ও আকাশপথে মহড়া পরিচালনা করছে। একাধিক বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা ধারণা করছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষার ওপর চাপ বজায় রাখতেই বেইজিং শক্ত অবস্থানে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোমবার তাইওয়ান জানিয়েছে, চীনের বিমান এবং যুদ্ধজাহাজ তাদের জলসীমানায় প্রবেশ করেনি।
বেইজিংয়ের হুঁশিয়ারি অপেক্ষা করে গত মঙ্গলবার তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে বিশেষ সফরে আসেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর জেরে তাইওয়ানের চারপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় চীন। এর মধ্যে আবারও নতুন করে মহড়ার ঘোষণা দিল দেশটি। মহড়া কতদিন চলবে এবং এর সুনির্দিষ্ট অবস্থান এখনও জানা যায়নি।
এদিকে আগের মহড়ার কারণে সেখানকার ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের কাছাকাছি ফ্লাইট বিধিনিষেধ শিথিল করেছে তাইপে।
সম্প্রতি চীনের চালানো সামরিক মহড়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেশটি। পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পড়েছে বলে অভিযোগ করে টোকিও। এ নিয়ে কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানায় জাপান।
চীনের এমন মহড়ার সমালোচনা করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। সামরিক মহড়াকে ‘উস্কানিমূলক’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যায়িত দিয়ে বেইজিং তাইওয়ানের ‘স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার’ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে হোয়াইট হাউজ।
ইউআর/