ইউক্রেনে চলতে থাকা যুদ্ধে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছে মস্কো। তবে মঙ্গলবার জাতিসংঘে রাশিয়া বলেছে, ন্যাটো দেশগুলো যদি মস্কোতে ‘সরাসরি আগ্রাসনের’ সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
জাতিসংঘের এক পারমাণু সম্প্রসারণ বিরোধী এক সম্মেলনে রুশ কূটনীতিক আলেক্সান্ডার টোরিফিমোভ বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে বলে জল্পনা চলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং অগ্রহণযোগ্য।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর কয়েক দিনের মাথায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পারমাণবিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখেন। তিনি দাবি করেন ন্যাটো নেতারা ও পশ্চিমা অর্থনীতিগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আগ্রাসী বক্তব্য রাখায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ রোধ ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক আলেক্সান্ডার টোরিফিমোভ বলেন, মস্কো শুধুমাত্র ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র বা প্রচলিত অস্ত্রের আক্রমণে রাশিয়ান রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে পড়লে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে।
পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণ রোধ চুক্তি পর্যালোচনায় জাতিসংঘের বৈঠকে টোরিফিমোভ বলেন, ‘এই দুটি অনুমানমূলক পরিস্থিতির কোনোটিই ইউক্রেনের পরিস্থিতির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়’। তবে তিনি অভিযোগ করেন ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি ‘ভয়াবহ হাইব্রিড সংঘাতের’ চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইউআর/