ঢাকার দোহার উপজেলায় পর্যটন স্পট মৈনট ঘাটে পদ্মা নদীতে ডুবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তার ১৫ বন্ধুকে তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফ উজ্জামান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আনোয়ারুল কবীর বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোহার থানার কুতুবপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামছুল আলম।
অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী প্রণব কুমার দে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, মো. রুবেল, মো. সজীব, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, মো. আশরাফুল আলম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, তারিকুজ্জামান সানি সাঁতার জানতেন না। গত ১৪ জুলাই সানিকে কৌশলে আসামিরা পদ্মা নদীর মৈনট ঘাটে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সানিকে পদ্মা নদীর পানিতে ফেলে হত্যা করে।
গত ১৪ জুলাই একসঙ্গে ১৬ যুবক পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান। সন্ধ্যার পর সানি নামে ওই বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। এ সময় তার বন্ধুরা জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোহার থানা পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গত ১৫ জুলাই সকালে সানির লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশের কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় লাশ মর্গে পাঠানো হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান দোহার থানার ওসি মোস্তফা কামাল।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে সানির বড় ভাই হাসানুজ্জামান একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে।
বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সানি। তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডাঙ্গুর বেপারীকান্দি গ্রামের হারুন-উর রশীদের ছেলে।
ইউআর/