চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোটা জাতি যখন শোকে শোকাচ্ছন্ন তখন প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) জাতিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি উপহার দিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) চট্টগ্রামের শোকের সময়ে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গোটা জাতিকে শোকাচ্ছন্ন করেছেন। জাতিকে তিনি বেদনার্ত করেছেন। সন্ত্রাসী মাফিয়া টাইপের সরকার না থাকলে এটা হতো না। সেই বিখ্যাত প্রবাদ। রোম পুড়ছে, আর সম্রাট নিরো বাঁশি বাজাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাঁশি বাজাচ্ছেন আর গোটা জাতি পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে গতকাল রাত পর্যন্ত ৪১জনের অধিক মানুষ মারা গেছে। এতবড় বিয়োগান্তক ঘটনা আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আড়াল করার জন্যে গ্যাসের মূল্য বাড়ালেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি কত বিবেকহীন। আপনি কতটা অনৈতিক। গোটাজাতি যখন শোকে মুহ্যমান চট্টগ্রামের ঘটনায়। সেই জাতিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি উপহার দিলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এই গ্যাস উৎপাদন পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়বে, কৃষি উৎপাদনে দাম বাড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দাম বাড়বে। আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ চাকরিজীবীদের বেতনের টাকা থেকে গ্যাসের চুলা জ্বালানো কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এটার একটা চেইন রিঅ্যাকশন তৈরি হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিংহাসনে বসে আনন্দ লাভ করেন, যখন দেখেন এই দেশের জনগণ কঠিন কষ্টের মধ্যে আছে। দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। আয় অনুযায়ী কিনতে পারছে না। তারতো কোনো সমস্যা নেই। তার লোকেরা সব আজকে বিদেশে সুরম্য অট্টালিকা বানাচ্ছে। বাদশাহী জীবনযাপন করছে। তাদের কোনো কষ্ট নেই। কষ্ট হলো দেশের মানুষের।
মহিলা দলের মিছিলে পুলিশের বাধা প্রসঙ্গে তিনি মহিলা দল নেতাকর্মীদের প্রশ্ন করেন আপনারা কি এই বাধা মেনে নেবেন? আপনাদেরকে আরও তুমুল গতিতে এগিয়ে যেতে হবে। সব বাধা পার হয়ে আপনাদের জনগণের স্বার্থে মিছিল করতে হবে। রাজপথে লড়াই করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহিলা দলের নেত্রী সুলতানা আহাম্মেদ, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, রুনা লায়লা, রুমা আক্তার, নাসিমা আক্তার কেয়া প্রমুখ।