লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্রুত এগিয়ে চলছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ। ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় জানানো হয়েছিল—নির্মাণকাজ শেষ হতে লাগবে ৪ বছর। সে হিসেবে উদ্বোধন হওয়ার কথা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। তবে কাজের বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই শেষ হবে নির্মাণ।
এখন পর্যন্ত প্রত্যাশিত লক্ষ্যের চেয়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ কাজ এগিয়ে আছে। এ কারণে টার্মিনালটি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)।
এই ঈদেও বন্ধ ছিল না টার্মিনাল নির্মাণকাজ। অনেক কর্মী ছুটিতে গেলেও বিদেশি কর্মীসহ অনেকেই কাজ চালিয়ে গেছেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিজুর রহমানের নির্দেশনা অনুসারে বেবিচকের প্রকৌশলীরা নিয়মিত কাজের তদারকি করে যাচ্ছেন।
গত এপ্রিলে নির্মাণকাজের ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
বেবিচকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল সার্কেল প্রকল্প) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, টার্মিনালের কাজের গতি সন্তোষজনক। আশা করছি আগামী বছরের আগস্টের শেষে কিংবা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় টার্মিনালটি নির্মাণ করছে জাপানের মিতসুবিশি, ফুজিতা ও কোরিয়ার স্যামসাং-এর কনসোর্টিয়াম ‘এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম’।
নির্মাণকাজে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও বাকি টাকা দিচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা।
শাহজালাল বিমানবন্দরের এই তৃতীয় টার্মিনালের মূল ভবন হবে তিন তলা। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের ভবনটির নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি এনওসিডি (জয়েন্ট ভেঞ্চার) পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন সিপিজি করপোরেশন লিমিটেডের (সিঙ্গাপুর) স্থপতি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত যে সীমাবদ্ধতা আছে তা তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে কেটে যাবে। করোনার মধ্যে নির্মাণকাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। বরং কাজের গতি ভালো হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশের বিমানবন্দরের মতোই আমাদের বিমানবন্দর দৃষ্টিনন্দন হবে। যাত্রীরাও ভালো সেবা পাবেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, টার্মিনাল ভবনের মূল কাঠামোর নির্মাণ শেষ। ছাদের অংশের কাজ চলছে। এছাড়া যেসব অংশের অবকাঠামো হয়ে গেছে সেখানে চলছে বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার হাইড্রেন্ট, এসিসহ অন্যান্য সংযোগ স্থাপনের কাজ।
ইউআর/