শেষ ওভারে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের প্রয়োজন ছিল ১৭ রানের। প্রথম ৫ বলে হাবিব মেহেদীর তিন চারে ১৩ রান তুলেও ফেলেছিল গাজী গ্রুপ। শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ৪ রান। আবাহনীর তানজিম সাকিবের বলে ২ রান পূর্ণ করে তৃতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হন গাজী গ্রুপের আলমগীর। আর তাতেই শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ১ রানে ম্যাচ জিতে নেয় আবাহনী।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করে গাজী গ্রুপকে ৩১২ রানের লক্ষ্য দেয় আবাহনী। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে টপ অর্ডার ব্যাটারের দৃঢ়তায় পুরো সময়টাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল গাজী গ্রুপ। দলটির পাঁচ ব্যাটার রান আউটের শিকার না হলে ম্যাচের ফলটা উল্টোও হতে পারতো। গাজী গ্রুপের হয়ে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন আল আমিন জুনিয়র। এই ব্যাটার ৬৬ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ঝড় তোলেন। এছাড়া ওপেনার মেহেদী মারুফের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংস। শেষ দিকে হাবিবের ঝড়ে জয়ের সুভাস পাচ্ছিল পয়েন্ট টেবিলে ৫ নম্বরে থাকা গাজী গ্রুপ। শেষ পর্যন্ত যদিও পারেনি, নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ৩১০ রানে থামে তারা।
আবাহনীর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সাইফউদ্দিন। ৫৬ রানে ৩ উইকেট শিকার এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের। এছাড়া তানভীর ইসলাম ২টি ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে জাকের আলীর সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। ১০৩ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় এই উইকেটকিপার ব্যাটার নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এছাড়া আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রানের ইনিংস।
ব্যাট হাতে ঝড় তোলার আগে বোলিংয়ে আলো কেড়েছেন আল আমিন জুনিয়র। ৪৩ রানে নেন ৩ উইকেট। বাকি ৪ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন গুরিন্দর সিং ও কাজী অনিক।
বিকেএসপির মতো মিরপুরের রূপগঞ্জ টাইগার্স ও শেখ জামালের মধ্যকার ম্যাচটিও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সাইফ হাসান (৬১) ও জিয়াউর রহমানের (৫৭) জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৪৮.১ ওভারে ২০২ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল।
সহজ এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে একাই লড়াই করেছেন রূপগঞ্জ টাইগার্সের আসিফ আহমেদ। আসিফের ৯৫ রানের পরও দলটি ৫০ ওভারে করতে পারে ১৯৮ রান। আসিফ ১৩২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি খেলেছেন। ৫৭ রান করার পর বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন শেখ জামালেন জিয়াউর রহমান।
ইউআর/